জুলাই হত্যাকাণ্ড : ৮ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ-লাইব্রেরি স্থাপনের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত নিহতদের তালিকা তৈরি এবং আহতদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে শহীদদের স্মরণে ঢাকার কয়েকটি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জনস্বার্থে জুলাই ৩৬ অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তালিকা, চিকিৎসা ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য রিট করেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-১, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ জন।
পরে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম জানান, শুনানি শেষে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে জুলাই ৩৬ ও শহীদদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ জারি করেন এবং আহতদের দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া রাজধানীর ৭টি স্থান (যাত্রাবাড়ী-শনিআখড়া, উত্তরা, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ইসিবি চত্বর, বাড্ডা-রামপুরা, চাঁনখারপুল, মোহাম্মদপুর) এবং রংপুরে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভসহ লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ জারি করেন।