তিন সন্তানের পর দগ্ধ বাবাও মারা গেলেন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবুল মিয়াও মারা গেছেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আগে মারা যাওয়া তিনজন বাবুল মিয়ার সন্তান।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে বাবুল মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে বাবুল মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) মারা গেছে। তার আগে তসলিমার বড় ভাই সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।