জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ, কাকরাইলে নিষিদ্ধ সভা-সমাবেশ
জাতীয় পার্টির সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে যখন উত্তাপ ছড়াচ্ছিল তখন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর কাকরাইল ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ডিএমপির অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় ডিএমপি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার মশাল মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর আজ শুক্রবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে, যা সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের ঘোষণা দেন, তারা যেকোনো মূল্যে আগামীকাল শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবেন। অন্যদিকে, টিএস থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ঘোষণা দেন, জাতীয় পার্টিকে কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং জাতীয় পার্টির নামে আওয়ামী লীগের দোসরদের এই কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হবে। তার মতে, শনিবার জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করতে দেওয়া মানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার আরেকটি চক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় এই কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়।