অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়ক মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে
বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ও অন্যতম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ও অন্যতম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সমর্থক সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ (৪৭), মো. মেহেদী হাসান (৩৪), অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের নেত্রকোনার আহ্বায়ক মো. রাহাত ইমাম নোমান (৩৩), মো. মাসুদ (৩৭), ইব্রাহিম (২৯), মো. আলেক ফরাজী (৪৪), মো. সাইফুল ইসলাম (৪৮), মো. আবু বক্কর (৪৯), মো. রিংকু (২১), মো. নিজাম উদ্দিন (৩২), সৈয়দ হারুন অর রশিদ (৬০), মো. আফজাল মন্ডল (৪২), আব্দুর রহিম (৩০), নুরনবী (৪৫), মো. শহিদ (২৮) ও মোছা. কহিনুর আক্তার (৫০)।
এদিকে, মামলার প্রধান আসামি ও সংগঠনটির আহ্বায়ক এ বি এম মোস্তফা হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি সারাদেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে। এরপর তাদের বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার করে টাকাও হাতিয়ে নেয় সংগঠনটি। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন শাহবাগ থানার এসআই হারুন অর রশিদ। মামলায় ১৯ জনকে এজাহারনামী আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ জনকে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের ব্যানারে আসামিরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার জন্য সাধারণ জনসাধারণকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হয়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে অনুমানিক বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।