শহীদ মিনারে সমাবেশের ডাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফকে হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোক ও সম্প্রীতি সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজা পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজা এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে লোহাগাড়া সাতকানিয়ার ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
এর আগে রাত ৯টার দিকে প্রত্যেক হল থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গায়েবানা জানাজা পড়েন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিষ্কার, কারা আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা করেছে। তারা কোনো মুসলিমকে নয়, বরং একজন সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করেছে। কোনো ধর্মীয় সংগঠন এটা করতে পারে না। এই সংগঠনের সঙ্গে উগ্র হিন্দুত্ববাদ জড়িত। আর সনাতনিরাও কোনোভাবে ইসকনকে সমর্থন করতে পারে না।’
আরও পড়ুন : কোনো চক্রান্তের ফাঁদে পা দেব না : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারি আইনজীবীকে হত্যা করার নজির নেই। কিন্তু ইসকন সেটা করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের ফান্ডিংয়ের উৎস কী, তা বের করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে শেখ হাসিনার মতো তাদেরকেও প্রতিহত করা হবে।’
অন্যদিকে, সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের হিন্দু ভাইদের কাজে লাগিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে আইনজীবীকে ইসকনের সদস্যরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। হিন্দুদের বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই। তবে ইসকনের সদস্যরা সীমালঙ্ঘন করেছে, এ সীমালঙ্ঘনের বিচার করতে হবে।’
অবিলম্বে ইসকনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান শরীফ ওসমান হাদি।