শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পেশাজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চত্বরে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা। শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব ও হাফিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯০ সালের এই দিনে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল মুহূর্তে আন্দোলনের সংগঠক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। মিলনের আত্মদানের মধ্যদিয়ে সেদিনের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এইচ এম এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতি বছর ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস পালন করা হচ্ছে।
মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও স্বৈরাচারী এরশাদের একই নীতির লোক ছিলেন। উভয়ই রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগন বীরের জাতি। তারা জীবন দিয়ে এদেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে বারবার রক্ষা করেছে।’
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা হত্যা, গুম-নির্যাতনমুক্ত একটা মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না। থাকবে সমতাভিত্তিক ন্যায়বিচার। গড়ে উঠবে মানবিক বাংলাদেশ। যা বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে পরিস্ফুট হয়েছে।’
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টকে চাই না। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করতে হবে। সব গুম ও খুনের বিচার করতে হবে। এমন একটি দেশ গড়তে হবে, যেখানে ভয়-ভীতি থাকবে না। সবার ভয়েস শোনা হবে। ছেলে-মেয়েদের দেশত্যাগের তাড়না থাকবে না।’
‘যাদের হাতে এখনও রক্ত লেগে আছে তাদের বিচার আগে হতে হবে’ উল্লেখ করে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, শিশু ও গণহত্যাকারীদের দেশে আনতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।