শেরপুরের দোজা পীরের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিল এলাকাবাসী
শেরপুর জেলা সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের বিতর্কিত পীর বদরুদ্দোজা ওরফে দোজা পীরের আস্তানায় হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাজার হাজার এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন সংগঠিত হয়ে এই হামলা চালায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই বদরুদ্দোজা ওরফে দোজা পীরের আস্তানায় ওরশসহ বিভিন্ন কার্যকলাপের নামে শরিয়ত পরিপন্থী কার্যকলাপ চলে আসছিল। মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পীরের আস্তানা উচ্ছেদের। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পীরের লোকজন ও স্থানীয়দের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাওলানা হাফেজ উদ্দিন নামে একজন গতকাল বুধবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত হাফেজ উদ্দিনের জানাজা হয় আজ। জানাজার পর পরই লছমনপুনপুরের লোকজন জমশেদ আলী কলেজ মাঠে জমায়েত হতে থাকে। পরে কয়েক হাজার লোক একযোগে পীরের আস্তানায় হামলা চালায়। এ সময় পীরের আস্তানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে তারা। ফলে আস্তানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
হাজার হাজার লোকের আক্রমণের মুখে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েন। এমনকি গণমাধ্যমের কর্মীরাও নিরাপত্তাজনিত কারণে সে এলাকায় যেতে পারেননি।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়ের আলম বলেন, ‘আমরা বিক্ষুব্ধ জনতাকে সামলানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী লোকজনও চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। তবে এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজনের পাশাপাশি লছমনপুর এলাকায় উত্তেজিত জনতার অবস্থানও রয়েছে।