একটি মহল শ্রমিক অসেন্তাষ সৃষ্টির চেষ্টা করছে : জেলা প্রশাসক

একটি মহল শিল্প কারখানায় শ্রমিক অসেন্তাষ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহ জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম। আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির পঞ্চম সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অনেক শিল্প কারখানার মালিক পলাতক রয়েছেন। তাঁরা শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধ না করে বিদেশে পালিয়ে থেকে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য কলকাঠি নাড়ছেন। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই শ্রমিকদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সামাধান করতে হবে, রাস্তা বন্ধ করে নয়। সম্প্রতি শিল্প কারখানার জুট ব্যবসা নিয়ে বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। আমরা জুট ব্যবসা নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাব্যবস্থাপক ও জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব আহমদ মাসুদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুয়েল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন, জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম. আইয়ুব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আকন্দ জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সভায় ওরিয়ন নিট টেক্সটাইলস, রোর ফ্যাশন, এডাম স্টাইল, অ্যাডভান্স কম্পোজিট লিমিটিড কারখানার শ্রমিকদের মজুরি, বকেয়া পওয়ানাদি, শ্রম পরিস্থিতি, ন্যূনতম মজুরি গেজেট বাস্তবায়ন, নতুন ঘোষিত ইনক্রিমেন্টসহ স্থানীয় শিল্প কারখানার নানাবিধ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ময়মনসিংহ জেলায় দুই হাজার আট শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫৪টি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র।