ফরিদপুরের সালথায় হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক
পেঁয়াজ চাষে সারাদেশের ভিতর ফরিদপুর জেলা একটি অনন্য নাম হিসেবে পরিচিত। জেলার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ। ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এখন চলছে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ভর মৌসুম। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলি জমিতে দলবেঁধে পেয়াঁজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠে মাঠে হালি পেঁয়াজ রোপণের ধুম পড়েছে।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর সালথা উপজেলায় মোট ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা আশা করা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ শত হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৪৫০ জনকে পেঁয়াজ চাষিদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। এ উপজেলায় লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পেঁয়াজ রোপণকারী আবু মোল্যা, রামকান্তপুর ইউনিয়নের ছিদ্দিক মোল্যা, আটঘর ইউনিয়নের বকুল মাতুব্বর বলেন, এ বছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই পেঁয়াজ চারা রোপণের ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিন ভোর থেকে পেঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর জমিতে রোপণ করা হয়। জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে কাজ করা হচ্ছে। তবে একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে সঠিকভাবে অর্জিত হয় সেজন্য সরকার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবছর উপজেলার ১ হাজার ৪৫০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রদান করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।