বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জনবিচ্ছিন্ন পুলিশ
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরা। সেই পুলিশই চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে সবচেয়ে বিতর্কিত ও বর্বর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জনসাধারণের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করেনি পুলিশ সদস্যরা। যদিও আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওপরের নির্দেশ ও ঊর্ধ্বতনদের আদেশে গুলি চালাতে বাধ্য হন তারা। যদিও সেই দাবি মেনে নেয়নি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। তাই, বিক্ষোভ চলাকালে ও পরে পুলিশকে ঘৃণাভরে পাশ কাটিয়ে চলতে দেখা গেছে।
পুলিশ শুধু যে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তা কিন্তু নয়, আওয়ামী সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরের শাসন আমলে পুলিশের ভূমিকা ছিল চরম বিতর্কিত। আওয়ামী বিরোধীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল এই বাহিনী। বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রভাব বিস্তাসহ সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতের ভোটের কারিগরও হয়ে ওঠে এই পুলিশ বাহিনী। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশে নির্বিচারে হামলা করে পুলিশ। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াতের ছোট-বড় অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করে রাখে পুলিশ। আওয়ামী লগের সমর্থকদের মতো পুলিশের আচরণ এতোটাই বাজে হয়ে উঠেছিল যে মানুষ তাদের ‘পুলিশ লীগ’ বলেও সম্বোধন করা শুরু করে।
সংসদ নির্বোচনের পরও আওয়ামী বিরোধীদের হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছিল পুলিশ। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুলিশ ছিল সবচেয়ে অগ্রগামী। এ ধরনের ভূমিকা পালন করতে করতে সামনে হাজির হয় জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন। এ আন্দোলন ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে থাকে। ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাইদসহ সারা দেশে ছয়জন নিহত হলে আন্দোলন ওঠে তুঙ্গে। সারা দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ আন্দোলন থামাতে পুলিশ একের পর এক গুলি ছুড়ে অনেক মায়ের বুক খালি করতে থাকে।
এই যখন অবস্থা, তখন সারা দেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলোও মাঠে নেমে পড়ে। পুলিশ তখনও নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে থাকে। রক্তে লাল হতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু, আন্দোলনকারীরা আর পিছিয়ে যায় না। পহেলা আগস্ট থেকে কোটা আন্দোলন ছাড়িয়ে এ আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। সে সময় দেশের আওয়ামী বিরোধী সব শক্তি এক হয়ে সরকার পতনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করা হয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালকে ডিএমপির এক সদস্য বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
পুলিশের হত্যাকাণ্ড এতোটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যে, বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার মতো ঘটনাও ঘটান আন্দোলনের শেষ দিকে। শুধু তাই নয়, দেশের অধিকাংশ থানাতে আক্রমণ করে আন্দোলনকারীরা। লুট করে অস্ত্র। পুলিশের সঙ্গে এই আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিপি)। তারাও গুলি চালায় ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ করে। ফলস্বরূপ, বিজিবির গাড়িতেও হামলা করে ছাত্র-জনতা। এই অবস্থা চলতে চলতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণা করে, ৫ আগস্ট হবে ‘মার্চ টু ঢাকা’। সেদিন জনস্রোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। সেদিনও এই পুলিশ সদস্যরা নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে। সেই লাশ আবার পুড়িয়েও দেয়। পুলিশের এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ চূড়ান্ত ধিক্কার জানায়।
পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুর রহমান (ছদ্মনাম)। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি থানায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। ৫ আগস্টের পর তিনি অসুস্থ অবস্থায় গ্রামের বাড়ি যান। তার কথা এ প্রতিবেদকের গত ২০ ডিসম্বর কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামে যাওয়ার পর আমার নিজের মা আমাকে বলেছিলেন, ‘তোরা বন্দুক হাতে নিয়ে এভাবে গুলি করতে পারলি কীভাবে? বুক কাপে নাই? মায়া লাগেনি? আমার ছেলে পুলিশ, সেজন্য আমি এখন আর পাশের বাড়ির লোকের কাছেও যেতে পরি না। লোক জিজ্ঞাস করে তোর কথা। আমার লজ্জা লাগে। পরে আমি যেদিন ঢাকায় ফিরি, সেদিন মা বলেছিল, আর দ্রুত বাড়ি আসতে হবে না। মানুষের ছি ছি করা কমুক। তারপর আসিস।’
এ ঘটনার পর পুলিশের অধিকাংশ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যায়। নিচের সারির পুলিশ সদস্যদেরও অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়। তারা কর্মবিরতি পালন করতে শুরু করে। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় ৮ আগস্ট। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে দেশের শৃঙ্খলা খাত। নিজেদের বাঁচাতে পুলিশ লাইনসে অবস্থান নেয় তারা। হত্যা-চুরি-ডাকাতির ভয়ে সন্ত্রস্ত জনতা এক হয়ে লড়ে সেই পরিস্থিতিতে। সড়ক সামাল দিতে নামে শিক্ষার্থীরা। পরে নানা উদ্যোগ আর পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও স্বস্তির পথ পায় এ সরকার।
৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ব্যস্ততা ছিল পুলিশ বাহিনীকে থানায় ফেরাতে ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা। ৭ আগস্ট পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান মো. ময়নুল ইসলাম। তিনি আওয়ামী আমলের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের স্থলাভিষিক্ত হন। তবে, তিনি বেশিদিন থাকতে পারেননি। ২০ নভেম্বর তার স্থানে নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান বাহারুল আলম। একইভাবে ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন মো. মাইনুল হাসান। আওয়ামী আমলের ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। কিন্তু ২০ নভেম্বর আবারও ডিএমপি কমিশনার পদে নিয়োগ পান শেখ মো. সাজ্জাত আলী। অনুরূপভাবে এর পরের ধাপের অধিকাংশ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বদলি করে সরকার।
শুধু তাই নয়, দেশের অধিকাংশ থানা, জেলা ও মহানগর পুলিশে ব্যাপক রদ-বদল আনে সরকার। তারপর পুলিশ থানার কার্যক্রম চালাতে ভয় পাচ্ছিল। এই যখন পরিস্থিতি তখন সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছিল, যেন মানুষ পুলিশকে সহযোগিতা করে। সরকার আহ্বান করে বলছিল, ‘পুলিশকে সহযোগিতা করুন, পুলিশের কাছ থেকে সেবা নিন।’ এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশের পুলিশ সরকারের কাছে পুলিশ সংস্কারে ১১ দফা দাবি জানায়। পুলিশের দাবি ছিল, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। অথচ, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ক্ষোভের শিকার কেবল নিচের পদের পুলিশ সদস্যরা।
এমন পরিস্থিতিতে থানা রক্ষার দায়িত্বে কাজ করতে থাকে সেনা সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশকে থানা পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হলেও দৃশ্যত মাঠের কাজে তাদের পাওয়া যায়নি। পুলিশ থানায় অবস্থান নিলেও মামলা গ্রহণ করছিল না। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় বড়জোর জিডি নেওয়া হচ্ছিল। তখনও ট্রাফিক পুলিশকে মাঠে নামাতে পরেনি সরকার। ছাত্র-জনতা সড়কে নেমে ট্রাফিকের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
এরপরও পুলিশের একটা অংশ কাজে যোগদান করছিল না। তবে, তাদের কাজে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১১ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, ‘১৫ আগস্টের মধ্যে পুলিশ সদস্যরা যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না।’
এর আগেও পুলিশ যেন কাজে ফেরে, তার সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তারপরও শেষমেশ ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা কাজে যোগাদান করেননি। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করা হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে। তিনি জানিয়েছিলেন, কাজে যোগ না দেওয়া ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় জানানো হয়, শুধু সেনাবাহিনী নয়, সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) সব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগের প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব-মারামারি-ছিনতাই-ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এখনও পুলিশ বাহিনীকে সেভাবে মাঠে সক্রিয় করা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্তির আগের রাতে, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর রেজাউল করিম নামের এক কনস্টেবলের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। রেজাউল রাতে ট্রাফিক পুলিশের টহল ডিউটিতে ছিলেন। গত ৩১ অক্টোবর তার বদলির অর্ডার হয়েছে। তবে, তাকে এখনও বদলির ঠিকানায় পাঠানো হয়নি। রেজাউল এ প্রতিবেদকের দাবি করেন, ‘আমাকে যে পাঠাবে, আমার জায়গায় লোক লাগবে না? ঢাকায় আওয়ামী সরকারের আমল থেকে ছিল, এমন অনেককে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু, জেলা থেকে তো সেভাবে পুলিশ আসেনি এখনও। পুলিশ না এলে, ঠিকঠাকভাবে ডিউটি করবে কীভাবে? এই যে কোথাও পুলিশ নেই টাইপের ভাব, এর মধ্যে মানুষ বিপদে পড়লে বা ছিনতাইকারীর আক্রমণে পড়তে তাকে কে বাঁচাবে? সারা ঢাকা ঘুরে দেখেন, কোনো ট্রাফিক বক্স খোলা নেই। মোড়ে মোড়ে পুলিশ নেই। পুলিশ আছে কেবল টহল টিমে। এ পরিস্থিতি কবে ভালো হবে, বড়বড় স্যারেরা জানেন।’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি ডাকাতি বেড়ে যায়। মব জাস্টিসও বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চুরি ও ডাকাতি অনেক বেড়ে যায়। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থেমে থাকেনি। যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে নিয়মিত। ছিনতাই আতঙ্কে এ এলাকায় মোহাম্মদপুর এলাকায় সেনা ক্যাম্পও বসানো হয়। নিয়মিত গ্রেপ্তার করা হয় ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের। পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে, গত ২৫ অক্টোবর রাতে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানে হঠাৎ করেই ২০-২৫ জন দুর্বৃত্তের একটি দল গণছিনতাই করে মানুষজনকে কুপিয়ে আহত করে। একই দিনে বসিলায় ঘটে আরও দুটি ডাকাতির ঘটনা। এ ছাড়া এ দিন বিকেলে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় শিশুসহ তিনজন আহত হয়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর বিকেলে গত দুমাস ধরে চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতি অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে মোহাম্মদপুর বিকেলে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। সে সময় মোহাম্মদপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার আলটিমেটাম দেন স্থানীয়রা। পালন করেন অবস্থান কর্মসূচিও। কর্মসূচিতে স্থানীয়রা জানান, ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় মোহাম্মদপুরবাসী নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। সে সময় থানা পুলিশ স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন এভাবে, জনগণের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন তারা। যদিও তারপরও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।