তিন মামলায় জামিন মেলেনি ব্যারিস্টার সুমনের
রাজধানীর মিরপুর থানার দুই হত্যাচেষ্টা ও খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে তিন মামলায় সুমনের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. বক্কর সিদ্দিক। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে গত ২১ অক্টোবর দিনগত রাত দেড়টায় রাজধানীর মিরপুর-৬ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার কিছু সময় আগে ২১ অক্টোবর দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন ব্যারিস্টার সুমন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
এরপরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম ব্যারিস্টার সুমনকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এরপরে কড়া পুলিশ পাহারায় ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ব্যারিস্টার সুমনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মিরপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলা
গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ এ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের বাবুর্চি হৃদয় মিয়া। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে তার ডান পা গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রেপ্তারের পর এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড ভোগ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মিরপুর থানার আরেক হত্যাচেষ্টা মামলা
গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
খিলগাঁও থানার হত্যা মামলা
গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।