ঢামেক মর্গে জুলাই বিপ্লবের আরেক শহীদের মরদেহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও এক শহীদের মরদেহের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন জুলাই গণ-অভুত্থ্যান বিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) হাসান ইনাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছয়জন শহীদের মরদেহ পেয়েছি। তারা সবাই অজ্ঞাতনামা। তারা শাহাবাগ থানার আওতাধীন। তবে রাতে খবর পেলাম আরও একজন শহীদ পরিবার একটি লাশ শনাক্ত করেছেন। সেটি যাত্রাবাড়ী থানাধীন। আমরা সেদিকে যাচ্ছি, ডিএনএ টেস্টসহ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাকিটা নিশ্চিত হতে পারব।’
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) সূত্রে জানা যায়, সেলিনা বেগম নামে এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার স্বামীর মরদেহ বলে দাবি করেন। তার স্বামীর নাম কাবিল হোসেন। তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সেলিনা বেগম ও তার সঙ্গে থাকা তানভীর আহমেদ রাজু নামে এক ব্যক্তি মরদেহটি শনাক্ত করেন।
তানভীর আহমেদ রাজু বলেন, আজ ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে কাবিল হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী সেলিনা বেগম। সেলিনা বেগম আমাদের কারওয়ান বাজারের অফিসে রান্নার কাজ করেন। তার স্বামী মাছের ব্যবসা করতেন।
সেলিনা বেগম বলেন, তাদের বাসা মুগদার মানিকনগর এলাকায়। গত ৫ আগস্ট সকালে মানিকনগরের বাসা থেকে কাবিল হোসেন বের হয়। সেই দিনের পর থেকে তিনি আর বাসায় ফিরে আসেনি। অনেক জায়গায় খোঁজার পর কোথাও পাইনি। গতকাল রাতে ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পাই ছয়টি মরদেহ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। এরপর সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে ফ্রিজে থাকা কাবিল হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ রামু দাস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এখন পর্যন্ত এক নারীসহ সাতজনের মরদেহ হাসপাতালের মরচুয়ারীতে রাখা আছে। সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কোনো স্বজন না থাকায় সবগুলো মরদেহের ডিএনএ নমুনা শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক স্বজনরা মরদেহ শনাক্তের জন্য এলেও কেউ শনাক্ত করতে পারেনি।’
রামু দাস আরও বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার দিকে মর্গে এসে এক নারী তার স্বামীর মরদেহ বলে দাবি করেন। ওই নারীকে থানায় যোগাযোগ করতে বলেছি।’