রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি, সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
বেতন-ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় সরকারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রাত ১২টার আগে যেসব ট্রেন ছাড়া হয়েছিল, সেগুলো নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
রেলের আন্দোলনরত কর্মীরা জানান, চলতি ট্রেনের কর্মীদের জরুরি স্টাফ বিবেচনায় মূল বেতনের বাইরে অতিরিক্ত ভাতা ও পেনশনের সঙ্গে অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ বেশি টাকা ব্রিটিশ আমল থেকে পেয়ে আসছেন রানিং স্টাফরা। কারণ চলতি ট্রেনের কর্মীদের ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করে ফিরে আসা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আট ঘণ্টার কয়েক গুণ বেশি ডিউটি করতে হয়। এ ছাড়া রানিং স্টাফদের সাপ্তাহিক ছুটিও নেই। এসব বিবেচনায় দীর্ঘদিন থেকে পেয়ে আসা এই সুবিধা ২০২১ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই আর্থিক সুবিধা বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এনটিভির সংবাদদাতা জানান, সোমবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে কোনো ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়নি। শুধু বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর ফলে স্টেশনে আসা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা স্টেশনে এসে বসে আছেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে, যারা টিকিট কেটে ফেলেছেন তারা তা ফেরত দিতে পারবেন। তবে অনলাইনে টিকিট কেটে থাকলে তা অনলাইনে এবং স্টেশন থেকে কেটে থাকলে তা স্টেশনেই ফেরত দেওয়া যাবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে পাঁচটি আন্তঃনগর ও তিনটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যেতে পারেনি। যাত্রা বাতিল হলে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।