গণগ্রেপ্তার, অজ্ঞাতনামা মামলা ও রিমান্ড বন্ধে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ
গণগ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতনামা মামলা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে বলে সুপারিশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভুলেশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণগ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতনামা মামলা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। আটককৃত ব্যক্তিদের যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকের সামনে হাজির করা যায়। আটকে রাখার স্থান যাতে পরিদর্শন করা যায়। সেই সঙ্গে রিমান্ডের প্রচলনে নিষেধাজ্ঞা আনতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই সাংবাদিকদের রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, রিমান্ডে নিরাপত্তা বাহিনী নির্যাতন করে থাকে। এ ছাড়া যেসব আইন জবাবদিহির পথে বাধা, এসব আইন সংশোধন বা বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেরও (আইসিটি) সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অতীতে এটিকে ব্যবহার করে অস্বচ্ছ বিচার করা হয়েছে। এখনও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অনেক ধারাই আন্তর্জাতিক মানের নয়। এখানে এখনও মৃত্যুদণ্ডের মতো বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন ধারা রয়েছে, যেমন অনুপস্থিতিতে বিচার করা। নভেম্বর পর্যন্ত এ আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং সম্ভবত তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিচার করা হবে।