ঝিনাইদহে যৌথবাহিনীর অভিযানে আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার
ঝিনাইদহে যৌথবাহিনীর অভিযানে একটি অবিস্ফোরিত আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা শহর সংলগ্ন পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়ার একটি মেহগনি বাগানে লাগানো কলা গাছের নিচ থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
যশোর সেনানিবাসের বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা ৬টা ২৫ মিনেটে ঘটনাস্থলের কাছে সেটি বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠে।
যৌথবাহিনী সূত্রে জানা গেছে কোরাপাড়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে একটি মেহগনি বাগানে অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পুতে রাখা হয়েছে বলে খবর পায় সেনা গোয়েন্দারা। এরপর ভোর থেকে বিপুল সেনা সদস্য ওই এলাকায় অবস্থান নেন এবং বাগানটি ঘিরে রাখেন।
বিকেলের দিকে পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যরা অভিযানে যোগ দেন। এর আগে সকাল থেকেই বাড়তি সর্তকতা হিসেবে ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। গ্রামবাসী বিস্মিত হয়ে পড়ে। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে মৃত হাবিবুর রহমানের ওই মেহগনি বাগানে দিনভর চলে তল্লাশি।
অবশেষে সন্ধ্যার দিকে মেহগনি বাগানে লাগানো কলাগাছের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি আর্জেস গ্রেনেড।
যশোর সেনানিবাস থেকে আসা বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের একজন সদস্য বিশেষ পোশাকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন। এ সময় বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠে। বোমার স্প্রিন্টার চারি দিকে বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে। এ সময় উপস্থিত যৌথবাহিনীর সদস্যরা মাটিতে শুয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সেনা ক্যাম্পের মেজর আকিদুর রহমান রুসাদ বলেন, গ্রেনেডটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। তবে কারা ও কী কারণে গ্রেনেডটি ঘটনাস্থলে পুতে রাখেছলি সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি। শুধু জানিয়েছেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।