বুকিং দিয়ে খেজুরের রস নিচ্ছেন ক্রেতারা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/pirojpur_khejurer_rs_chbi.jpg)
কুয়াশা মোড়ানো শীতের কাকডাকা ভোরে টাটকা খেজুরের রসের স্বাদ নিতে প্রতিদিন পিরোজপুরের নাজিরপুরের বুইচাকাঠী-খেজুরতলা সড়কের পাশে বিভিন্ন বয়সের রসপ্রেমী মানুষের ভিড় দেখা যায়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় রস সংগ্রহ কম হওয়ায় চড়া দাম দিয়েও মিলছে না রস। এতে মন খারাপ করে অনেকেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন খালি হাতে।
জানা গেছে, ক্রেতাকে অগ্রিম বুকিং বা সিরিয়াল দিয়ে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে হয়।
শহরের যান্ত্রিক জীবনযাত্রায় প্রকৃতির সান্নিধ্যের চাহিদা পূরণে উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের বুইচাকাঠী গ্রামের হাজরা বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন সড়কের দুই পাশের খেজুর গাছগুলোতে রস সংগ্রহে আসেন জেলা উপজেলা থেকে বিভিন্ন মানুষ। এ রাস্তার দুপাশে চলতি মৌসুমে গাছ থেকে রস আহরণে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় শতাধিক খেজুর গাছ। শীতের শুরুতেই এসব গাছ থেকে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কনকনে শীতের ভোরে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুর গাছে ঝুলে থাকা রসের হাঁড়িগুলো নামিয়ে আনছেন গাছিরা। টাটকা রসের স্বাদ পেতে প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোরবেলা খেজুর রস খাওয়ার জন্য প্রতিদিনই এখানে আসছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। খেজুরের রস খাওয়ার পাশাপাশি খেজুর গাছ এবং খেজুরের রস নিয়ে অনেকে আবার ছবিও তোলেন। এতে রসপ্রেমীরা অনেক খুশি। মৌসুমের শুরুতে রসের ছোট কলসি ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও চাহিদার কারণে দাম বেড়ে এখন ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান গাছিরা।
রস নিতে আসা অহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিবছরই খেজুরের রসের উৎপাদন কম হচ্ছে, চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না রস, দাম নাগালের বাইরে, তবুও সিজনাল খাবার না খেলে হয় না, তাই দাম যতই হোক রস নিতে হবে। দুই দিন আগে সিরিয়াল দিয়ে আজকে পেয়েছি।’
গাছি বিনয় ও আব্দুল হক বলেন, শীত মৌসুমে টানা তিন থেকে চার মাস ধরে রস সংগ্রহ চলবে। বাদুর ও পোকামাকড় যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতার সঙ্গে হাড়ি ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করেছি, প্রতিবছরই খেজুরের গাছ কমছে এবং গত বছরের চেয়ে গাছে এবছর রসও কম হচ্ছে। আমি ২০টি গাছ কাটি তাতে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাড়ি রস পাই, ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করি, তাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।