রাস্তায় ঘর তুলে চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে একটি রাস্তার মধ্যখানে ছাপড়াঘর তুলে এলাকাবাসীর চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকার শতাধিক পরিবারের মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। মথুরাপুর ইউনিয়নের খড়বাড়িয়া কিন্ডার গার্টেনের উত্তরপাশের রাস্তায় এ ছাপড়াঘরটি তোলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন হরিপুর ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামের জন রোজারিওর ছেলে কমল রোজারিও।
জানা যায়, চাটমোহর-পাবনা সড়কের খড়বাড়িয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলের উত্তরপাশে একটি সরকারি রাস্তা রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের স্বার্থে প্রায় ২০ বছর আগে রাস্তাটি করা হয়। বিভিন্ন সময় এ রাস্তাটিতে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সর্বশেষ দুই বছর আগে সরকারি প্রকল্প থেকে ছয় লাখ ৫৬ হাজার টাকার মাটির কাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ বছর পর জমির মালিক কমল রোজারিও রাস্তাটির উপর একটি টিনের ছাপড়াঘর তুলে এলাকাবাসীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এতে শতাধিক পরিবারের মানুষকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জমির মালিক বলছেন আগে তিনি জমি দিয়েছিলেন রাস্তার জন্য। এখন তিনি দেবেন না। তাই ঘর তুলেছেন।
ভাদড়া বেড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলজার হোসেন ও আব্দুর রহমান বলেন, এত বছর ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। কখনও কেউ বাধা দেয়নি। এই রাস্তা দিয়ে আমরা স্কুল, কলেজ, হাট-বাজারে যাতায়াত করি। নিয়মিত ভ্যান-সাইকেল চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে ঘর তুলে তিনি খুব খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, জমির মালিক কমল রোজারিও এখানে বসবাস করেন না। আরেকটি ইউনিয়নের অন্য একটি গ্রামে বসবাস করছেন। অথচ তিনি এখানে এসে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। ঘটনার পর তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যান। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিতে বলেন। লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত কমল রোজারিও বলেন, দেড় বছর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে বসেছিলাম। রাস্তাটির বেশিরভাগ জায়গা আমার জমির উপর দিয়ে। আমিতো সব জায়গা দিতে পারি না। পাশের জমির মালিক যদি দেয় আমিও দেব।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, যদি লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে ওখানে গিয়ে দেখতে হবে বিষয়টা কী। বিষয়গুলো জানার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাছের চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে বলা হয়েছে।