কাঠের জীর্ণ সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্থায়ী কাঠের সাঁকোয় পারাপার হচ্ছেন। চিকন গাছের খুঁটি ও পাতলা কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি নড়বড়ে এই সাঁকোটি। যানবাহনের চাপ ও পথচারীদের নিয়মিত চলাচলে কাঠের পাটাতন আলগা হয়ে গেছে। নিচের খুঁটিগুলোও নড়বড়ে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের বন্যায় সাঘাটা উপজেলার উত্তর উল্যা এলাকার শ্মশানঘাটিতে প্রধান সড়কের দুটি অংশ পানির স্রোতে ধ্বসে যায়। তখন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তবে সেটিও এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘বন্যা এলেই প্রতিবছর এই এলাকায় রাস্তা ভেঙে যায়। ফলে বিকল্প হিসেবে তৈরি করা সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু এটি খুবই দুর্বল ও বিপজ্জনক। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আমাদের খুব ভয় হয়।’
ষাটোর্ধ্ব আমিনা বেগম বলেন, সাঁকোটি বিশেষ করে শিশু ও আমাদের মতো বৃদ্ধদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শীতের সকালের কুয়াশায় এটি আরও পিচ্ছিল হয়ে যায়, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফারুক হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ব্রিজ নির্মাণের জরিপ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় শিগগিরই স্থানীয়ভাবে ব্রিজ নির্মাণ হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসহাক আলী জানান, বন্যায় সড়কটি ভেঙে যাওয়ার খবর শুনে সরেজমিন দেখেছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছিলাম। স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য জরিপ শেষ হয়েছে। এখন আমরা প্রস্তাব পাঠাব।