সৌদি নাগরিকের অর্থায়নে ৪ মসজিদ নির্মাণ, ২৮০ নলকূপ স্থাপন

বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় আধুনিক চারটি মসজিদ ও ২৮০টি নলকূপ স্থাপন করেছেন নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি নাগরিক। মহান আল্লাহতায়ালাকে রাজি-খুশি ও সদকায় জারিয়া হিসেবে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই মসজিদ নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জোহরের নামাজ ও আসরের নামাজ আদায় এবং মোনাজাতের মাধ্যমে পৃথকভাবে দুটি মসজিদ উদ্বোধন করেন সৌদি প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় মুসল্লি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মপ্রাণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সৌদি নাগরিকের অর্থায়নে এবং স্থানীয়ভাবে মুহাম্মদ তাজউদ্দিন তানিম, মাওলানা হাসান রফিক ও মাওলানা হাসান এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সৌদি প্রবাসী কমলাপুর ইউনিয়নের চৌদ্দভুরিয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ ও মুহাম্মদ ইমাম হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ধরান্দী বাজার ও চৌদ্দভুরিয়ায় আরও দুটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
মসজিদ নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানায়, প্রতিটি মসজিদের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন, তাই খরচও আলাদা। প্রতিটি মসজিদে ৪৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। প্রতিটি টিউবওয়েল স্থাপনে এক লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। মসজিদগুলোয় উন্নত সাউন্ড সিস্টেম, মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, নিরাপদ পানি, আধুনিক টয়লেট ও ওজুখানা এবং নান্দনিক ডিজাইন করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা, হাসপাতাল ও হাটবাজারে নিরাপদ পানির কষ্ট লাগবে ২৮০টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
মসজিদ নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও জানিয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সৌদি নাগরিকের অর্থায়নে ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এমন সুন্দর মসজিদ হবে ভাবিনি। নামাজ পড়তে এখন আর কোনো সমস্যা হয় না। আমরা খুবই খুশি।’
সৌদিপ্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর রহমতে আমার সন্তানদের মাধ্যমে আজ দুটি সুন্দর মসজিদ উদ্বোধন করতে পেরেছি। এর আগেও দুটি মসজিদ করা হয়েছে। ইসলামের খেদমতে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।’
সৌদি প্রবাসী মো. আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মুহাম্মদ ইমাম হাসান বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের জেরে একজন সৌদি নাগরিক ও ইমাম, তার ব্যবস্থাপনায় আল্লাহকে রাজি-খুশির লক্ষ্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য এই মসজিদগুলো নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রতিটি মসজিদ তার নির্দেশিত ডিজাইন ও রং অনুযায়ী করা হয়েছে।