২২ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা পুটিয়া সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ পিলারের সামনে পতাকা বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের কাছে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। ভারতের বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিএসএফের ৪৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) অজিত কুমার।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুটিয়া এলাকার ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আল-আমিন মিয়ার বাড়ি থেকে একটি গরু সীমান্তের শূন্য রেখায় চলে যায়। গরু আনতে সেখানে গেলে আল-আমিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ভারতীয় বিএসএফ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বিএসএফের সদস্যরা তাকে ভারতের বিশালঘর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাতেই আল-আমিন মিয়া মারা যায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আল আমিন ছয় মাস আগে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী তারিন আক্তার দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের আহত হওয়ার খবর রাতে দিলেও সকালে মারা যাওয়ার কথা জানায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঘটনার জন্য বিএসএফ অনুতপ্ত হয়েছে।