খাগড়াছড়িতে আধিপত্য বিস্তারে দুই পক্ষের গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠনের গোলাগুলিতে রূপসী চাকমা নামে এক গৃহবধূ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩ মার্চ) উপজেলার দুর্গম মাচ্ছাছড়া এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ এবং জেএসএস (সন্তু লারমা) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির সময় ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত গৃহবধূ দুর্গম সীমান্তের হাতিমারা এলাকার হেমন্ত চাকমার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের একটি সশস্ত্র দল দক্ষিণ ধুধুকছড়া এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় একটি গুলি বাড়ির বেষ্টনি ভেদ করে রূপসী চাকমার পিঠে বিদ্ধ হয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে রূপসী চাকমার মেয়ে বন্ধনা চাকমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক চিরকুটের ছবি ও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, "ম' মা'রে হিত্তে মারেই ফেলো, ইক্কু মুই হারে মা ডাগিম" অর্থাৎ- আমার মাকে কেন তোমরা মেরে ফেললে। এখন আমি কাকে মা ডাকব। সেখানে তিনি আরও বলেন, "তোমরা বরং এক কাজ কর, আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি সবাইকে আগে মেরে ফেল, না হয় নিজেরা নিজেরা ডুয়েলিং আহবান করে সিদ্ধান্ত নাও। আর সহ্য হয় না।"
পানছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে দুটি আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতির মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ নিয়ে নিহতের পরিবার, স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ অভিযোগ করেননি।