বায়তুল মোকাররমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘিরে আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল থেকেই ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও বায়তুল মোকাররমে অবস্থান নিয়েছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা সাধারণত ১১টা থেকেই আসতে থাকেন। আজ পবিত্র রমজান মাসের প্রথম শুক্রবার হওয়ায় এদিন আরও আগে থেকেই মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।
প্রতি শুক্রবারই বায়তুল মোকাররমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। তবে হিজবুত তাহরীরের কর্মসূচির কারণে আজ অন্যান্য জুমাবারের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে যারা ভেতরে প্রবেশ করছেন তাদের অনেকের শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।
জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে হিজবুত তাহরীর। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে অনেকটা প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে। নানা দাবিতে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকও করেছে সংগঠনটি। চট্টগ্রামেও পালন করেছে নানা কর্মসূচি।
শুক্রবার সংগঠনটি রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘মার্চ ফর খিলাফত’–এর ডাক দিয়েছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে; বিভিন্ন জায়গায় লিফলেটও বিলি করেছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিজবুত তাহরীরের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেপ্তারেরা হলেন—মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।
দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠন হওয়ায় হিজবুত তাহরীর কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে।
ডিএমপি জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যেকোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সকল কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিজবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যেকোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালালে ডিএমপি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।