আদালতে যে কারণে কাঁদলেন শাজাহান খান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খানের চারদিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুনানিতে শাজাহান খানের আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা বলেন, শাজাহান খান আটবারের সংসদ সদস্য ও দুই বারের মন্ত্রী ছিলেন। শাজাহান খান ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাকে আগেও দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া শাজাহান খানের বয়স ৭৬ বছর।
রোজার মাঝে রিমান্ডে নিলে শাজাহান খান ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন উল্লেখ করে তার আইনজীবী রিমান্ড নাকচ করার আবেদন করেন।
এসময় শাজাহান খান আদালতকে বলেন, ‘আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। এই মামলা কেনো হলো, তা জানি না। আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই।’
এদিন সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাজাহান খানকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ডের আবেদন বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার বাড্ডা থানাধীন উত্তর বাড্ডা বিসমিল্লাহ হোটেলের পাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন রফিকুল ইসলাম। সেখানে গুলিতে আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুল। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের মামা লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।