পর্যবেক্ষক সংস্থা বাতিল করতে পারে ইসি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আমরা একটা খসড়া দাড় করেছি পর্যবেক্ষকদের জন্য। কিছু কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থা তো বাতিল হবেই। যদি কমিশন মনে করে সবগুলো বাতিল হবে তো, বাতিল হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন অভিমত প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন বিষয়ে অনেকেই তো বিতর্কিত। নির্বাচনে ভবিষ্যতে যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, অস্বচ্ছতা যেন না হয়, সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইনশাল্লাহ বিতর্কের সৃষ্টি হবে না। নির্বাচন কমিশনার, যারা বিতর্কিত ছিলেন তাদের বিষয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাদের তো চাকরি চলে গেছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হোক বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হোক, সরকারও ব্যবস্থা নিচ্ছে, কমিশনও নিচ্ছে। ভবিষ্যতে হবে না এমনটাই মনে করি। সুনির্দিষ্ট পদ পদবির বিষয় না৷ একটা সুন্দর স্বচ্ছ নির্বাচন এবং নজিরবিহীন সুন্দর নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি স্থগিত হওয়ার বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে রুলের আদেশ এখনো আসেনি। আসলে সেটা দেখার পর বলতে পারব। সুনির্দিষ্টভাবে আদেশ না দেখে বলা যাবে না। আগামী সপ্তাহে রায়ের কপি হয়তো পাব, তখন বলতে পারব।
জানা গেছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে ৯৬টি।
এর আগে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় তা হলো-ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত, ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা সংক্রান্ত নির্বাচন আচরণবিধি পরিবীক্ষণ কার্যক্রম সংক্রান্ত।