যেমন কাটবে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ফাতেমা বেগমের পরিবারের ঈদ

উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন পরিচারিকা ভোলার মেয়ে ফাতেমা বেগম। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা বেগম জিয়ার পাশে প্রায় ১৪ বছর ধরে ছায়াসঙ্গী হিসেবে আছেন তিনি। প্রতিবছর ফাতেমা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদ করলেও দেশে থাকেন। তবে, এবার ফাতেমার সন্তানরা মাকে ছাড়াই ঈদ করবেন। তবুও তাদের কোনো আক্ষেপ নেই। তারা বলছেন, মা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সেবা করছেন, এতে আমরা আনন্দিত।
৪৫ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কাজগুলো করেন। দেশের ভেতরতো বটেই, দেশের বাইরেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফরসঙ্গী তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জানান, দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ প্রবল।
ফাতেমার বাবা মো. রফিজুল ইসলাম জানান, একসময় তিনি ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ফাতেমা সবার বড়। বেশিদূর পড়াশুনা হয়নি ফাতেমার। মাত্র ক্লাস থ্রি অবদি পড়াশুনা করেন। ফাতেমার বিয়ে দেন ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. হারুন রাঢ়ীর সঙ্গে। ফাতেমা এক মেয়ে ও এক ছেলের মা হন। মারা যান ফাতেমার স্বামী। এরপর ফাতেমা বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ নেন। এরপর রফিকুল ইসলাম চলে যান নিজ এলাকা ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়ায়।
ফাতেমার বাবা রফিজুল ইসলাম আরও জানান, ফাতেমা ছুটি পায় না। গ্রামে আসতে পারেন না। মোবাইলফোনে ছেলে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেন। খোঁজখবর নেয়। ১৫ বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে ঈদ করেন না তিনি।
ফাতেমা বেগমের বড় মেয়ে জাকিয়া ইসলাম রিয়া (১৯) নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে পড়াশুনা করেন ও এক ছেলে মো. রিফাত (১৫) টবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করেন।
ফাতেমা বেগমের ছেলে মো. রিফাত জানান, পড়াশুনা শেষে বড় হয়ে ব্যবসা করবে। মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে না তাই কষ্ট হয়। তবে, আক্ষেপ নেই মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সেবা করছেন। এমন মানবিক কাজের জন্য পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীও গর্বিত।