১৭ বছর দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি : জিলানী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। ভোট আমাদের নাগরিক অধিকার। বিগত সরকার আমাদের সেই অধিকারকে হরণ করেছিল। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছি।
শনিবার (২২ মার্চ) উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে স্থানীয় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিলানী এসব কথা বলেন।
এসএম জিলানী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের জনগণের ভোটে বৈধ প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশরত্ন খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদেশে যেতে বলেছিল। এমনকি বিমানবন্দরে তারা বিমানও প্রস্তুত করে রেখেছিল। সেইদিন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘মরে গেলেও বিদেশে যাব না।’ আমার নেত্রী সেদিন বিদেশে না গিয়ে এদেশের মাটিতে থেকে গিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াকে যারা চল্লিশ বছর বসবাসকৃত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, আজ তারা দেশ থেকে বিতারিত হয়েছেন।
বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে স্বেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, তিনি হালাল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। তিনি হারাম ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিও গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে দেওয়া হয়নি। আমাকে অবৈধভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে জিলানী বলেন, অবৈধভাবে আয় করে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে সৎ উপার্জন দিয়ে ডালভাত খাওয়া অনেক ভালো। আপনারা জনগণের সাথে এমন ব্যবহার করবেন, তারা যেন আপনাদের ব্যবহারে কষ্ট না পায়। এটাই হচ্ছে শহীদ জিয়ার আদর্শ। আপনারা সৎভাবে চললে আগামীর বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিউজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ই্উসুফ আলী দাঁড়িয়া, সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।