আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে এনসিপির বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
এ সময় ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘এনসিপি কী চায়, আওয়ামী লীগের বিচার চায়’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, আওয়ামী লীগের বিচার চাই’, ‘গুম খুনের বিচার চাই, আওয়ামী লীগের বিচার চাই’, ‘জুলাই হত্যার বিচার চাই, আওয়ামী লীগের বিচার চাই’ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নেক্সট বাংলাদেশ উইথ আউট আওয়ামী লীগ। পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তাদের নিয়ে। আমাদের মতপার্থক্য হবে, আমাদের পলিসি ডিসকাশন হবে। আমাদের সব হবে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র কাঠামোর বাইরে রেখে। আমরা সন্দেহের চোখে দেখছি যে বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই এখন ইনক্লুসিভ ইলেকশনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলোতে ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিল?
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যেই বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার শহীদের রক্তের দাগ শুকায়নি, শাপলা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি, সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগর সাথে কোনো ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে না। আমরা বিনয়ের সাথে আপনাদের আহ্বান জানাবো, আমরা একটি প্রোপার ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের অপেক্ষায় রয়েছি। যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটি ন্যূনতম সংস্কার প্রক্রিয়া শেষে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে চাই।
সমাবেশে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের রক্তের শপথ—আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। দলটির কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া যাবে না।’
আখতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সাত মাস পেরিয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আওয়ামী লীগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেনি। সরকারকে বলব, আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।