স্বাধীনতা দিবসে উন্মুক্ত থাকবে শিশুপার্ক, জাদুঘর ও নৌবাহিনীর জাহাজ

আগামী বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এই দিনটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সারা দেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য থাকছে বিশেষ আয়োজন। এদিন দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
গতকাল রোববার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মার্চ ভোরবেলা ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটি শুরু হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষও স্মৃতিসৌধে ফুল দেবেন। দেশের সব জেলা ও উপজেলায়ও একই কর্মসূচি পালিত হবে।
এই দিনে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলো দিয়ে সাজানো হবে। তবে ২৫ মার্চ কালো রাতে কোনো আলোকসজ্জা করা হবে না। ঢাকা ও অন্যান্য শহরের প্রধান সড়কগুলোও জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হবে। এই দিন সরকারি ছুটি থাকবে।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং টেলিভিশন ও রেডিওতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, মহানগর জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ডাক বিভাগ বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।