পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা
কিশোরগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর তীরের হারুয়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ১১টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। চার মাস ১২ দিন পর আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ প্রায় চার শতাধিক মানুষের একটি দল এই ২৮ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। এবার রমজানের কারণে দানবাক্স খোলার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত একটি টিনের দানবাক্স বাড়ানো হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ ছাড়া বিপুল সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, এবার চার মাস ১২ দিন পর আজ (শনিবার) সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার মাহে রমজানের কারণে চার মাস ১২ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হলো। তাই এবার একটি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা যায়, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।’

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে, যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। এতে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এর আগে তিন মাস ১৪ দিন পর গেল বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।