ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন স্লোগানে প্রকম্পিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরই মধ্যে জমায়েত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। তাদের সকলের ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো উদ্যান।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় মূল কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করে মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মিছিল এসে জমায়েত হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এরপর কর্মসূচির সভাপতি ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ঘোষণা পাঠ করবেন।
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এ গণজমায়েতে সকল দলমত নির্বিশেষে মানুষ অংশ নিচ্ছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে মুসলমানদের ঐক্য ও ফিলিস্তিনের মুক্তির নানা স্লোগান।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এই কর্মসূচি ঘোষণার পর দলমত নির্বিশেষে এ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ নির্দেশনা
১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন কাল বন্ধ থাকবে।
২. সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিকনির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন—পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।