রমনার বটমূলে সুরে সুরে নববর্ষ বরণ

প্রতি বছরের মতো এবারও রমনার বটমূলে সুরে সুরে চলছে বাংলা নববর্ষ বরণ।
পুরনো বছরের দুঃখ-বেদনা, ভুল-ভ্রান্তি পেছনে ফেলে আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে চলছে বাংলা নতুন বছরকে বরণ।
৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে ছায়ানটের পরিবেশনায় এবারে মোট পাঁচ ধাপে অংশগ্রহণ করেছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। একক ও সমবেত কণ্ঠে মুখরিত হয়েছে রমনার প্রতিটি প্রান্তর।
এদিকে, বাংলা নববর্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ শোভাযাত্রা বের করবে। তবে এবারের আয়োজনে বাংলা নববর্ষের 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'র নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। শোভাযাত্রার নতুন নাম 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'।
বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। নিরাপত্তার স্বার্থে এ বছর যেখান-সেখান থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থলগুলো ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হচ্ছে। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেড রয়েছে।
প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোড সমূহ সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াত ছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।