সরকারের কাছে আমাদের পাওনা আছে : এনবিআর চেয়ারম্যান
এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাওনা করের টাকা আদায়ে তৎপরতা বাড়াচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইসঙ্গে বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি করছাড় দেওয়ার প্রবণতা থেকেও এনবিআর সরে আসতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে করের হাজার হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। এর মধ্যে শুধু পেট্রোবাংলার কাছেই ২২ হাজার কোটি টাকা পাবে এনবিআর। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের বেশ কিছু পাওনা আছে। সরকারি পাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে আমি ডিও লেটার প্রস্তুত করে সচিবদের কাছে লিখব। এটি এই না যে, তাদের কাছ থেকে আমরা কোনোকিছু জোর করে আনছি। নিয়মমাফিক তারা এগুলি পরিশোধ করবে। তবে ওই যে মাফ করার সংস্কৃতি এটি আমাদের একটু কমিয়ে ফেলতে হবে।’
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। সেই ক্ষেত্রে প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৯২ হাজার কোটি টাকা, যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কম। এ অবস্থায় এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘কর এবং শুল্ক এই দুটাতেই রেয়াত দেওয়া, অব্যাহতি দেওয়া এসব বিষয় আছে এখনো। শুধু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই আমরা সেগুলিকে এক্সটেন্ট করব। আমি এখানে কারো কোনো মুখ দেখে কোনো কাজ করব না। কোনো ডিসক্রিমিনেশন আমরা প্রশ্রয় দেব না।’
অর্থ পাচারসহ আর্থিক খাতের অনিয়ম বন্ধে বাংলাদেশ ফাইস্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে আরো কার্যকর করতে নানা উদ্যোগের কথাও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট, এটির সাথে আমরা সমন্বয় করব এবং মানি লন্ডারিং, অবৈধ অর্থের পাচার, এগুলি যাতে প্রতিরোধ করা যায়।’
এ ছাড়া ২৬ জানুয়ারি নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।