ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর পাচারকারীরা দেশ থেকে বিপুল অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন বা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে, সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রক্ষিতে পাচার বন্ধসহ অর্থ নিরাপত্তার স্বার্থে গত ৮ আগস্ট ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিন ব্যাংকের গ্রাহক এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে পারেননি। পরে গত রোববার (১১ আগস্ট) থেকে এই টাকা তোলার সীমা বাড়িয়ে দুই লাখের পর্যন্ত করা হয়েছিল।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে অর্থ উত্তোলন সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। আজ থেকে ব্যাংকের গ্রাহকরা এক হিসাব থেকে তিন লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে পারবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়মে টাকা তোলা যাবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, নিরাপত্তার কারণে শাখায় টাকা স্থানান্তর করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য এক হিসাব থেকে তিন লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না। চেকের মাধ্যমে লেনদেন তদারকি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ করতে হবে। তবে একজন গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বহু গুণে বাড়ে। এতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল বেশি। এসব অর্থ যাতে অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা দিয়ে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে গত সপ্তাহে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে না পারলেও আজ সেই সীমা বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তিন লাখ টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না।