ব্যাংক ও ওষুধ খাতে ৪২ শতাংশ লেনদেন
গত সপ্তাহে (৬ থেকে ৯ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। পরের অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাত দুইটি মিলে লেনদেন করেছে ৬১৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের ৩৬ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদনের ২৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ একাই করেছে ব্যাংক খাত। এই পরিমাণ লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাতের ৩৪ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার। যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। পরের অবস্থানে আইটি খাত। লেনদেন হয়েছে ১৪৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার। যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা শেয়ার। যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৫৯ শতাংশ। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার। যা মোট লেনদেন পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার। যা মোট লেনদেন পাঁচ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে টেলিকম খাতে তিন দশমিক ৮৭ শতাংশ, বিবিধ খাতে তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে দুই দশমিক ৩৯ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে দুই দশমিক ৪১ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে দুই দশমিক ১১ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে এক দশমিক ৬৮ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডের এক দশমিক ২৪ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে এক দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, পাট খাতে এক দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে দশমিক ৮২ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে দশমিক ৭৫ শতাংশ, চামড়া খাতে দশমিক ৭১ শতাংশ, সিরামিক খাতে এক দশমিক ১৩ শতাংশ, করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ হয়েছে।