নভেম্বরের ১৬ দিনে গড়ে প্রবাসী আয় এলো ৯৪০ কোটি টাকা
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে সাত কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯৪০ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭০০ টাকা (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৮৪ পয়সা হিসেবে)। গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে সাত কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ ডলার। আগের বছরের (২০২৩ সাল) নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৭ ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ৯৫৮ ডলার।
অন্যদিকে, চলতি বছরের গত অক্টোবরে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল সাত কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ৬৪৫ ডলার। গত অক্টোবর তুলনায় চলতি নভেম্বরে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৮০ ডলার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় আট হাজার ৯৮৫ কোটি ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি সাত লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আট কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ২০ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৩৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বর ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।