রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি : জিজ্ঞাসাবাদে এলো ছাত্রলীগ নেতার নাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ গতকাল মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এ চক্রের মূলহোতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক প্রভাবশালী নেতা।
গ্রেপ্তার হওয়া বায়েজিদ খান নামের এক প্রক্সিদাতাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতার নাম৷ তার ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় 'প্রক্সি' দেওয়ার জন্য 'এক্সপার্ট' হিসেবে তাদেরকে ভাড়া করে আনেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধারণ করা এক মিনিটের ভিডিও এনটিভি অনলাইনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। যদিও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ একেক সময় একেকজনের নাম বলেছেন।’
এনটিভি অনলাইনের এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্দেশদাতা হিসেবে ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম বলছেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রক্সি দিতে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছেন। প্রক্সি দেওয়ার পূর্বে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ফোন ওই নেতার কাছে জমা রেখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ওই নেতা এসএম হলের দ্বিতীয় তলায় থাকেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ একেক সময় একেকজনের নাম বলেছেন। এতে একাধিক ব্যক্তির নাম এসেছে। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী তদন্ত করে দেখবে। এতে প্রক্টরিয়াল বডি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বায়েজিদের দাবি করা চক্রের হোতা ছাত্রলীগের নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া প্রক্সিদাতা বায়েজিদ খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নেতার মুঠোফেনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি৷ এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ও আমার সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’