সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার অস্তিত্ব সংকটের সময়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কর্মসূচির উদ্যোক্তা ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেছেন, মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদী জমায়েত থেকে আমরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনের ও সম্মুখের কুশীলব, ষড়যন্ত্রকারী, আক্রমণকারীদের দ্রুততম সময়ে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ স্বরূপ আগামী দুইদিন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ করার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। প্রশাসন দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা না নিলে আবারো মাঠে নামার প্রতিজ্ঞা জানাই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মীমাংসিত, সংবিধান স্বীকৃত রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষার্থে আমাদের এই সচেতন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।
সৈকত আরো বলেন, পুরো দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করার পায়তারা বহু আগে থেকেই করা হয়েছে, এখনো চলমান। একজন প্রকৃত ধর্মভীরু ব্যক্তি কখনোই নিজ ধর্ম বা অন্য ধর্মের ব্যক্তির ওপর আঘাত হানতে পারে না। বাংলাদেশ আমার, আপনার, আমাদের সবার। এটা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানের দেশ না। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল এখানে আমরা সবাই ভাই ভাই। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়।
‘অন্যের ঘরে আগুন লাগলে সেই আগুনের তাপ কেবল সেই ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকে না। আমরা এটা বুঝতে না পারলে, ভূমিকা রাখতে না পারলে তার খেসারত দিতে হবে এদেশের সাধারণ মানুষদের। যে বা যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে এসব নাশকতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, হিন্দু মুসলিম আলাদা করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।’ বলছিলেন সৈকত।