শুরু হতে পারে প্রাথমিকে দুপুরের খাবার
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে চলতি মাসেই দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে ও বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া কমাতে সহায়তা করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে দুপুরের খাবার পাবে। তবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করেছে। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। শিগগিরই প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি প্রকল্পটি শিগগিরই অনুমোদন পাবে এবং আমরা চলতি মাসেই মিড-ডে মিল চালু করতে পারব। শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার হিসাবে প্রতিদিনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে থাকবে মৌসুমি ফল, কলা, ডিম ও রুটি। তবে রান্না করার জায়গা ও লোকবল সংকটের জন্য অনেক স্কুলে গরম খাবার সরবরাহ করা যাবে না।’
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্কুলশিশুদের খাওয়ানোর জন্য প্রকল্প চালিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল। এ কর্মসূচির আওতায় সরকার ১০৪ উপজেলার প্রায় ৩০ লাখ স্কুলশিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট দিয়েছে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত চলে। কিন্তু এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের আগস্টে ৬৫ হাজার ৫৬৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪১ লাখ শিক্ষার্থীকে ৫ বছর খাবার দেওয়া অব্যাহত রাখার জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার কর্মসূচি প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়।