পাঁচ মাসের ব্যবধানে আরাফাতের হাতে নেই নগদ টাকা
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতের কাছে নগদ টাকা শূন্য হলেও, মাত্র পাঁচ মাস আগের উপনির্বাচনে ছিল তিন কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা। উপনির্বাচনে স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা ছিল ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৯ টাকা। যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৩ টাকা।
চলতি বছরের জুন মাসে হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোহাম্মদ আলী আরাফাতের দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে আরাফাতের চাকরি থেকে আয় এক কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতবার পেশা বা চাকরি থেকে আয় ছিল এক কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা। এ ছাড়া গতবার অন্যান্য খাত থেকে আয় ছিল ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা। এবার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৩৪০ টাকা। উপনির্বাচনের সময় তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছিলেন ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৬ টাকা। কিন্তু এবার কোনো আয় দেখানো হয়নি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বর্তমানে এক কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৬৩ টাকার শেয়ার রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল এক কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকা। স্ত্রীর এক কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার বিনিয়োগ থেকে বেড়ে এবার দুই কোটি দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে।
আরাফাতের নিজের নামে সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত আগের ৩০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪ লাখ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া আগের মতোই ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার গাড়ি, ছয় লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে ও দুই কোটি ৭০ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
আগের মতোই নিজের ও স্ত্রীর স্বর্ণ, পাথরনির্মিত অলংকার বা অন্য কোনো মূল্যবান অলংকার নেই এই সংসদ সদস্যের।