‘নিখোঁজ’ নয় আত্মগোপনে ছিলেন প্রীতি খন্দকার : পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে খবর দেওয়া হয় বিজয়নগর থানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ তার খোঁজ পেয়েছে নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায়। পুলিশের একটি দল তাঁকে আনতে নারায়ণগঞ্জের কাচপুরে গেছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরও বলেন, দুজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল। এরপর নাকি আর তাঁর কিছু মনে নেই। তবে তিনি নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন বলে আমাদের ধারণা।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হয়। ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। গত মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় সহযোগী দুই নারী বাইরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিলেন। ১০ থেকে ২০ মিনিট পার হলেও যখন তিনি বের হচ্ছেন না তখন দুই নারী সহযোগী ভিতরে যান। ভেতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। স্ত্রীকে গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাখায়ত হোসেন এনটিভি অনলাইনেকে জানান, ইতোমধ্যে পুলিশের একটি টিম নারায়নগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে রাত ৮টা ৯টা নাগাদ বিজয়নগরে এসে পৌঁছাবে। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।