ভুঁড়ি কমাতে বানর করবে জিম!
চিড়িয়াখানায় বানর দেখেছেন নিশ্চয়। কিন্তু ভুঁড়িওয়ালা বানর? দেখেননি, তাই না? তাও যে-সে ভুঁড়ি নয়। তার বড় ভুঁড়ির নিচে দিব্যি লুকোচুরি খেলতে পারে অন্য বানররা। থাইল্যান্ডের ব্যাংককের ভাসমান বাজারে হানা দিয়ে ট্যুরিস্টদের ফেলে দেওয়া খাবার খেয়ে সে অর্জন করেছে এই বিশাল ভুঁড়ি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ভুঁড়ির জন্য রীতিমতো তারকা বনে যাওয়া এই বানরের নাম আঙ্কেল ফ্যাটি। তবে শেষ পর্যন্ত এই ভুঁড়িই তার জন্য ডেকে এনেছে সর্বনাশ।
দ্য মিররের একটি খবরে জানা যায়, আংকেল ফ্যাটির সুখের দিন খতম করে দিয়েছে থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী দপ্তর। নাখোন নায়োক প্রদেশের একটি বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাকে। বিশেষজ্ঞরা আংকেল ফ্যাটির ওজন অন্তত ১৫ কিলোগ্রাম কমাতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আঙ্কেল ফ্যাটির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১০ কিলোগ্রাম বেশি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে একটি ফ্যাট ক্যাম্পে পাঠানো হবে। সেখানে ভয়ানক সব ডায়েটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাকে। পাশাপাশি তাকে জিমেও ভর্তি করানো হবে। সেখানে তার জন্য থাকছে দৌড়ঝাঁপ।
নাখোন নায়োক প্রদেশের বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারের কাঞ্জানা নিত্তায়া বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে এই বানর মেদবাহুল্যতে ভুগছে। কারণ, বিপুল পরিমাণে লোক এই বাজারে আসে এবং তাকে খাবার প্রদান করে। আর অতিরিক্ত খাবারের কারণেই তার এই মেদভুঁড়ি।’
ব্যাংককের ভাসমান বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয় এই আঙ্কেল ফ্যাটি। বাজারটির সংগঠক কাওয়াইনায়োট মংখোলটেকাপহাট জানান, আঙ্কেল মোটা হয়েছে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলেই। সে আসলে অসুস্থ নয়, তার সাহায্যের প্রয়োজন। সে খেতে ভালোবাসে এবং প্রতিদিন প্রায় শত শত দর্শক তাকে খাদ্য প্রদান করে। তিনি আরো বলেন, ‘এখানকার কম বয়সী বানরদের জন্য সে একজন নেতা। কীভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সে সবাইকে এটার শিক্ষা দিয়ে থাকে।’
বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে ভুঁড়িওয়ালা বানর দেখার আক্ষেপ আপনার হয়তো কোনো দিনও ঘুচবে না; কিন্তু কে জানে নিয়মিত ব্যায়াম ও ডায়েট করে হয়তো সিক্স প্যাক নিয়েও ফিরতে পারেন আঙ্কেল ফ্যাটি। তখন ভুঁড়িওয়ালা বানর দেখার সাধ সিক্স প্যাক বানর দেখেই মিটবে।