জাদু
শূন্যে ভাসিয়ে রাখার গোপন রহস্য
‘ছু মন্তর ছু’। জাদুকরের একটি কথায় মুহূর্তেই শূন্যে ভাসতে শুরু করল মেয়েটি। মেয়েটি যে আসলেই শূন্যে ভাসছে, তা প্রমাণের জন্য বিশাল একটি বৃত্ত মেয়েটির মাথা থেকে পা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো। না, কোনো দড়ির সাহায্যে মেয়েটিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়নি। তবে কি আসলেই মেয়েটিকে মন্ত্রের সাহায্যে শূন্যে ভাসিয়েছেন জাদুকর?
না, কোনো তন্ত্র-মন্ত্র নয়। এই জাদুতে মেয়েটিকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সূক্ষ্ম একটি কৌশল। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্রাইটসাইডের সৌজন্যে আজ থাকছে ‘লেভিটেট’ জাদুর গোপন রহস্যের কথা।
এ জাদু করার জন্য জাদুকর একজন মেয়ে সহকারীকে ডাকেন, যার পরনে লম্বা পোশাক পরা থাকে। পোশাকটি এতটাই লম্বা হয়, যা টেবিল থেকে মাটি পর্যন্ত ঢেকে রাখে। এরপর মেয়েটিকে টেবিলে ওঠানো হয় এবং কিছু তন্ত্র-মন্ত্র পড়ে টেবিলটিকে সরিয়ে নেওয়ার পর দেখা যায় মেয়েটি শূন্যে ভাসছে। অনেকেই ভেবে বসেন, মেয়েটিকে দড়ি বা অন্য কিছুর সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য জাদুকর একটি বৃত্তকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত নিয়ে যান এবং আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
আর গোটা কর্মযজ্ঞে যে জিনিসটা আড়াল হয়ে থাকে তা হলো, মেয়েটিকে ধরে রাখার লাঠি বা দণ্ড। যা আড়াল হয়ে থাকে মেয়েটির লম্বা পোশাক ও জাদুকরের হাতের কৌশের কারণে। লাঠি বা দণ্ডের মাথায় যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা থাকে, যাতে মেয়েটি কোমরে ভর দিয়ে সুবিধাজনকভাবে শুয়ে থাকতে পারে। আর জাদুটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই বৃত্তটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথা থেকে পা পর্যন্ত।
শূন্যে ভাসিয়ে রাখার এই জাদুর শেষে টেবিলটিকে আবার ফিরিয়ে এনে মেয়েটিকে শূন্য থেকে টেবিলের ওপর স্থাপন করা হয়। জাদু শেষে টেবিল থেকে তাকে মঞ্চে নামিয়ে আনেন জাদুকর। লক্ষ করার বিষয়, জাদুকর কখনই শূন্যে ভাসমান অবস্থা থেকে তার সহকারীকে মাটিতে নামিয়ে আনেন না। কারণ, এতেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে জাদুকরের কেরামতি।