শিশুর জন্ম দিল ‘জায়ান্ট পান্ডা’ মেই শিয়াং
আকারে সে বিশাল, কিন্তু সবার ভারি পছন্দের। ওয়াশিংটনের জাতীয় চিড়িয়াখানার নিবাসী পান্ডা মেই শিয়াংকে প্রজাতিগতভাবেই ‘জায়ান্ট পান্ডা’। টেলিগ্রাফের খবরে জানা গেল, এই হাসিখুশি প্রাণীটি গতকালই স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একটি ফুটফুটে শাবকের জন্ম দিয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বেশ ঘটা করে জানিয়েছে এ খবর।
‘আমরা সবাই খুব খুশি। মেই শিয়াং একটি শিশুর জন্ম দিয়েছে। বাচ্চাটা খুবই ছোট, তার জন্য সময়টা এখন কঠিন। তবে আমরা জানি যে মেই দারুণ একজন মা,’ বলেছেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ডেনিস কেলি।
এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডেনিস। শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা সবাই খুবই সতর্ক। ২০১২ সালে ছয় দিন বয়সী একটি পান্ডা শিশু মারা যাওয়ায় এখন অনেক বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
নিজের সন্তানের প্রতি মেই শিয়াংও বেশ সতর্ক। জন্মের পরপরই শাবকটিকে তুলে নিয়েছে সে। চিড়িয়াখানার প্রধান পশুবিদ ডন নেইফার জানিয়েছেন স্বস্তির কথা, শাবকটি সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ প্রকাশ করছে, এমনকি আওয়াজও করছে। আপাতত শিশুটিকে মায়ের কাছেই রাখছেন তাঁরা। তবে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলেই তাঁরা এগিয়ে আসবেন। এ জন্য মা ও শিশু দুজনকেই গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর আগে মেই শিয়াং জন্ম দিয়েছিল আরো দুটি সুস্থ শিশুর, ২০০৫ সালে ‘তাই শান’ এবং ২০১৩ সালে ‘বাও বাও’।
শিশুটি ছেলে না মেয়ে, তা পরে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডেনিস। নামকরণের ব্যাপারেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বাও বাওয়ের নাম দেওয়া হয়েছিল অনলাইনে বিশাল এক ভোটাভুটি করে। এবারে এই নতুন শাবকের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদাপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের একটি হলো ‘জায়ান্ট পান্ডা’। এদের প্রজনন হার খুবই কম, এমনকি ক্ষমতাও। প্রাকৃতিকভাবে চীনের মধ্যাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় এদের নিবাস। জীবিত জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা দুই হাজারের কম। এর মধ্যে হাজার দেড়েক পান্ডা বনাঞ্চলেই থাকে, বাকিগুলো থাকে সংরক্ষিত বা পোষা প্রাণী হিসেবে।