গাড়ির নম্বর প্লেটের মূল্য ৭০ কোটি টাকা মাত্র!
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো যেন ঐশ্বর্যের ভাণ্ডার। অঢেল সম্পত্তি তাদের করে তুলেছে এমন বিলাসী, যা রীতিমতো বিস্ময়কর। এমন বিলাসিতা ইউরোপ-আমেরিকায়ও কম দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রসিদ্ধ শহর দুবাই ঐশ্বর্য এবং বিত্তের দিক থেকে একেবারে ওপরের সারির। এ দেশে একেকটা ছোটখাটো বিষয়েও এমন খরচ হতে পারে, যা আপনার আক্কেলগুড়ুম করে দিতে পারে!
আমোদ-প্রমোদে ভরা এ শহরের ধনকুবেরদের জীবনযাপন। এঁরা শখের বশে ছোটখাটো বিষয়ে এমনভাবে দুই হাতে টাকা ওড়ান, যা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তেমনি একটি অবিশ্বাস্য খবর হলো, সম্প্রতি এক ধনকুবের তাঁর গাড়ির নম্বর প্লেটের জন্য খরচ করেছেন ৩৩ মিলিয়ন দিরহাম, বাংলাদেশি হিসাবে যার মূল্যমান প্রায় ৭০ কোটি টাকা! খবরটি বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ইনডিপেনডেন্টে প্রকাশিত একটি খবরে দেখা যায়, এই বিলাসী কাজটি করেছেন বলবিন্দর সাহানি নামের একজন দুবাইবাসী ভারতীয়। সাহানি দুবাইয়ের একটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মালিক। এই নম্বর প্লেটটি কিনেছেন তাঁর রোলস রয়েসের জন্য। কোটি টাকার গাড়িতেও যেন তাঁর মন ভরেনি, তাই কোটি টাকার নম্বর প্লেট কিনে এবার খবরের শিরোনামে এলেন দুবাইবাসী এই ভারতীয়। মনে হতে পারে কী আছে সেই নম্বর প্লেটে? সেটা কি সোনার নাকি হীরার তৈরি, যার দাম ৭০ কোটি টাকা? না, এসবের কিছুই না, নম্বর প্লেটটিতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে 'ডি৫', মাঝখানে ইংরেজিতে একটি বিশেষ স্টাইলে লেখা ‘দুবাই’ কথাটি। ব্যস, এটুকুই!
আসলে দুবাইয়ে গাড়ির লাইসেন্সের এমন নিলাম প্রায়ই হয় এবং এটা হয় সরকারের পক্ষ থেকেই। দুবাইয়ে গাড়ির প্লেটের ছোট নম্বর ধনকুবেরদের স্ট্যাটাসের সাক্ষ্য দেয়, তাই ধনীরা নিলামে সবচেয়ে ছোট নম্বর নেওয়ার লড়াইয়ে মেতে ওঠেন। সাহানি এই 'ডি৫' কেনার দিন এক মিলিয়ন দিরহামের আরেকটি প্লেট কেনেন। তা ছাড়া গত বছর তিনি ২৫ মিলিয়ন দিরহাম দিয়ে ০৯ নম্বরটি কিনেছেন।
৩৩ মিলিয়ন দিরহাম দিয়ে 'ডি৫' নম্বরটি কিনতে পেরে বেশ খুশি বলবিন্দর সাহানি। সংবাদমাধ্যমকে নিজের আনন্দের কথা জানাতে দ্বিধা করেননি মোটেও।
তবে নম্বর প্লেট কেনার রেকর্ডে এটিই কিন্তু সবচেয়ে বড় খরচা নয়। ১ নম্বর প্লেটটি ৫২ দশমিক ২ মিলিয়ন দিরহামে ২০০৮ সালেই কিনে নিয়েছেন সাইদ আল কৌরি নামের এক ধনকুবের!