চুলের যত্নে পাঁচ মোক্ষম প্রাকৃতিক উপাদান

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

ত্বকের যেমন ময়েশ্চারাইজেশন জরুরি, তেমনই জরুরি চুলের। শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলের যত্নে ময়েশ্চারাইজেশন দরকার। এ জন্য শুধু যে তেল দিতে হবে, এমন নয়। তেল ছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চুলকে ঘন-কালো ও মসৃণ করতে পারেন।

ভারতের জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনা এক প্রতিবেদনে তেল ছাড়াই চুলের যত্নে পাঁচ প্রাকৃতিক উপাদানের গুণাগুণ বর্ণনা করেছে। আসুন, একঝলকে দেখে নেওয়া যাক—

দই

প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস দই। এতে আরো রয়েছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা চুলের যত্নে মোক্ষম। রুক্ষ চুলকে কোমল করে দই এবং চুলের ময়েশ্চারাইজেশনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দইয়ে আরো রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা খুশকি দূর করতে সহায়ক।

অ্যাভোকাডো

পলিয়ানস্যাচুরেটেড ও মনোনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে পূর্ণ অ্যাভোকাডো। এটি শুধু রুক্ষ, শুষ্ক ও অনার্দ্র চুলের জন্যই মোক্ষম নয়, সব ধরনের চুলের জন্য কার্যকর উপাদান। এটি মাথার ত্বকের যত্নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাভোকাডো ব্যবহারে চুল হয় স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল।

কলা

কলায় প্রাকৃতিক তেল ছাড়াও রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও পটাশিয়াম। এই পরম পুষ্টি উপাদান চুলকে কোমল করতে সহায়তা করে এবং ভঙ্গুর হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তা-ই নয়, খুশকি নিয়ন্ত্রণ, মাথার ত্বকের যত্ন এবং রোদে রুক্ষ চুলের যত্নে দারুণ কার্যকর কলা।

মধু

মধুর যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তেমনই চুলের যত্নে এটি মোক্ষম উপাদান। এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান চুল ও মাথার ত্বকের যত্ন নেয়। ফলে খুশকি দূর হয়।

ডিম

ডিম শুধু চুলকে ময়েশ্চারাইজই করে না, মাথার ত্বকের যত্ন নিয়ে দূর করে ভঙ্গুরতা। ডিম প্রোটিন ও বায়োটিন সমৃদ্ধ, যা মাথার ত্বক ও চুলের যত্নে মোক্ষম উপাদান। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুলকে শক্তিশালী করতে ডিম কার্যকর উপাদান।