প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন? ৬ বিষয় বিবেচনা করুন

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

বিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্ক। যার সাথে সারাজীবন কাটাতে পারবেন নিশ্চয় তাকেই বিয়ের প্রস্তাব দেবেন। প্রস্তাব দেওয়ার আগে কিছু  বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। তা না হলে জীবন কঠিন হয়ে  যেতে পারে।

সামঞ্জস্য

প্রস্তাব করার আগে ভেবে দেখুন আপনাদের মধ্যে সামঞ্জস্যতা আছে কিনা। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি।  আপনাদের লক্ষ্য এবং আগ্রহ কতোটা মিল তা ভেবে দেখুন। আজীবনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে একে অপরকে জানার জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় করুন। কারণ সময়ের সাথে সাথে মানুষের সামঞ্জস্যের পরিবর্তন হতে পারে।

সময়

সময় মানুষের জীবনে দারুণ প্রভাব ফেলে। প্রস্তাব দেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনারা দুইজনই বিয়ের জন্য প্রস্তুত। বিয়েতে তাড়াহুড়ো করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুইজন মিলে শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করার জন্য সময় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে, বাহ্যিক কারণগুলিও বিবেচনা করুন। বিশেষ করে, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য বা পারিবারিক প্রতিশ্রুতি। এসব জিনিস মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে।

অর্থ

অর্থ সম্পর্কের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রস্তাব দেওয়ার আগে দুইজন মিলে অর্থ সম্পর্কিত আলোচনা করে নিন। একে অপরের আর্থিক পরিস্থিতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হন। বাড়ি, বাচ্চাদের খরচ, সঞ্চয়ের মতো দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করুন। এসব লক্ষ্য আপনার জীবনের অনেক দিককে প্রভাবিত করতে পারে।

পরিবার এবং বন্ধু

বিয়ে এমন এক বিষয় যা, শুধু দুইজনের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গীর সাথে আপনার পরিবার নিয়ে আলোচনা করুন। তার মতামত জানার চেষ্টা করুন। আপনার বন্ধুদের ব্যাপারেও মতামত নিন।

জীবনের লক্ষ্য

প্রস্তাব দেওয়ার আগে, আপনার এবং আপনার সঙ্গীর জীবনের লক্ষ্য এবং আকাঙ্খা একই কিনা তা নিশ্চিত করে নিন। আপনারা উভয়ই সন্তান চান কিনা, কোথায় থাকতে চান, কী ধরণের জীবনধারা কল্পনা করেন তা নিয়ে আলোচনা করুন। এছাড়াও, আপনাদের কর্মজীবনের আকাঙ্খা, শখ এবং অন্যান্য আগ্রহ নিয়ে আলোচনা করতে ভুলবেন না। কারণ এগুলি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।

যোগাযোগ

চিরাচরিত সত্য হচ্ছে, যোগাযোগ সম্পর্কের চাবিকাঠি। বিয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। তাই ভেবে দেখুন আপনি এবং আপনার সঙ্গী আপনাদের অনুভূতি, উদ্বেগ এবং প্রত্যাশাগুলি নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন কিনা। সমস্যা হলে দুইজন মিলেই সমাধান বের করছেন কিনা। একমাত্র দৃঢ় যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে তা সম্ভব। তা না হলে বিবাহিত জীবনের উত্থান-পতন মেনে নেওয়া কঠিন হবে।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া