ভাইফোঁটা উপলক্ষে বিশ্বরঙের বিশেষ আয়োজন
ভাইফোঁটা হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম উৎসব। এই উৎসবের পোশাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কালীপূজার দুদিন পর এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবটি মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা দিয়েছিলেন।
অন্য মতে, নরকাসুর নামের এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। তাই ভাইফোঁটার দিন বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে এই উৎসব উদযাপন করেন। আগামী ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা উদযাপন হবে।
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্বরঙ সৃষ্টিশীল ভাবনায় বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে পোশাকে তুলে ধরেছে সুনিপুণ শৈলীতে। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বরঙ ভাইফোঁটা উৎসব ২০২২-এর পোশাক অলংকরণের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রতিকৃতি।
প্রকৃতির নান্দনিক রূপের গ্রাফিক্যাল জ্যামিতিক ফর্মের সমন্বয়ে ভাইফোঁটা মোটিফ, ড্রইং উপস্থাপন করা হয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ধুতি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, শার্ট, ইত্যাদির মসলিন সারফেসে। পোশাকের প্যাটার্নে এসেছে ভিন্নতা। বরাবরের মতো মনমাতানো সব বাহারি ডিজাইনের কালেকশনই থাকছে বিশ্বরঙের ভাইফোঁটা উৎসব ২০২২ সংকলনে।
গরমের কথা মাথায় রেখে ব্যবহার করা হয়েছে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার উপযোগী আরামদায়ক সুতি, লিলেন, ভিসকস, ভয়েল ইত্যাদি। আর আভিজাত্য তুলে ধরতে জয়সিল্ক, ডুপিয়ান, হাফ সিল্ক,জর্জেট, সিফনসহ ভিন্ন ভিন্ন বাহারি কাপড় তো থাকছেই। পোশাকগুলোতে উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে উজ্জল রং ব্যবহার করা হয়েছে, পাশাপাশি কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে চুনরি, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, কারচুপি, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিন্ট ইত্যাদি।