যেভাবে মন ও ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখবেন

Looks like you've blocked notifications!

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেক মানুষের কাছে একেক রকম। ত্বকের সৌন্দর্যের পাশাপাশি মনের সৌন্দর্যও জরুরি। এ বিষয়ে আমরা আজ বিস্তারিত জানব একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে।

এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে মন ও ত্বকের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলেছেন ভেল্লা এসথেটিকস ও ভেল্লা লেজার সেন্টারের ডা. দিলরুবা সুলতানা। তিনি বলেন, সৌন্দর্য আমরা একেক জন একেকভাবে ডিফাইন করি। সৌন্দর্য বলতে আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন, অনেকের কাছে ফেয়ার স্কিন মানে সুন্দর, অনেকের কাছে ওজন কম মানে সুন্দর। অনেকের কাছে বাল্কি ওয়েট নিয়ে যাঁরা চলেন, তাঁরা সুন্দর। সৌন্দর্যের ডেফিনেশন একেক জনের কাছে একেক রকম। যেহেতু আমরা মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এখনো, আমি বলব যে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেইসঙ্গে এটা মেনে চলতে হবে যে আমার সেফটিটা... আমি যদি সুস্থ থাকি, ভালো থাকি, সেটা ত্বকে দেখা যাবে।

দিলরুবা সুলতানা বলেন, এখন শীত মৌসুম। এ সময়ে ত্বকে বিভিন্ন রকমের প্রবলেম স্টার্ট হয়। স্কিন ড্রাই হয়ে যায়, তা যেকোনো ধরনের স্কিনই হোক না কেন, অয়েলি হোক, ড্রাই হোক বা কম্বিনেশন হোক, সবার স্কিন ড্রাই হতে থাকে। সে ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু স্কিন কেয়ার রুটিন মেইনটেইন করতে হবে। তা হলে আগের যে গ্ল্যামটা, সেটা ধরে রাখা যাবে।

এ সময় তো আমরা অনেক বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি, মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে আমাদের সবাইকে, মাস্ক পরার ফলে আমাদের স্কিনে এক ধরনের লালচে ভাব আসছে, কিংবা হাত খসখসে হয়ে যাচ্ছে; এ ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের একটা বড় অংশ অ্যালকোহল থাকে, যেটা হয়তো স্কিনের হাইড্রেশনটা নষ্ট করে দিচ্ছে। এমনিতেও উইন্টারে একটু ড্রাইনেস চলে আসে। সে ক্ষেত্রে যেটা করতে হবে, যখনই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হ্যান্ড ওয়াশ করছেন, সাথে সাথে একটু ময়েশ্চারাইজারও ইউস করতে হবে। আর কোভিডের সময় মাস্ক পরতেই হবে। কোনো বিকল্প নেই, যেহেতু আমাদের বাইরে যেতেই হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আপনি কটন মাস্ক ইউস করতে পারেন। অনেক রকমের মাস্ক পাওয়া যায়। যেন এয়ার সার্কুলেশনটা ঠিক থাকে। একটা মাস্ক একবার ইউস করে সেটা ফেলে দিতে হবে এবং লম্বা সময় সেটা পরে থাকা যাবে না। এই হাইজিনটা যদি আপনারা মেইনটেইন করেন, এ ক্ষেত্রে প্রবলেম অনেকখানি কমে যায়। আর তা ছাড়া মাস্ক খোলার পরে স্কিনটা আপনি ভালো করে ক্লিন করছেন কি না। মাস্কের ভেতরে হয়তো আপনি ঘামছেন... ওখানে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হয়ে অ্যাকনি হতে পারে বা লালচে ভাব হতে পারে। ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করলে সমস্যা অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে।

ইন্টারনাল হ্যাপিনেসের জন্য বাইরের সৌন্দর্য বড় একটি ভূমিকা পালন করে। বাইরের সৌন্দর্য ভেতরটাকে কীভাবে প্রভাবিত করে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, দুটোই ইন্টার-কানেক্টেড। আপনি যদি হ্যাপি থাকেন, এমনিতেই সুন্দর হয়ে যাবেন। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, যখন এজিং প্রসেসের কারণে একটা মানুষের সৌন্দর্য কমতে থাকে, তখন তাঁর কনফিডেন্স কমতে থাকে, তখন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যটাও হ্যাম্পার হয়। বিউটি উইথআউট মেকআপ, মেকআপ ছাড়া আপনাকে সুন্দর লাগবে। প্রতিদিন মেকআপ করার প্রয়োজন নেই। যেমন—আইব্রোস ড্র করতে হবে না। লিপস্টিক দিতে হবে না। আয়নার সামনে যখন আমি যাব, আমাকে দেখতে প্রেজেন্টেবল লাগবে। আমাকে যে রকম দেখতে চাই, সে রকম দেখতে পাব। আপনাকে ওভারঅল একটা লাইফস্টাইলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং ওইটা আপনাকে অ্যাডপ্ট করতে হবে... বাসায় বসে যখন-তখন এক্সারসাইজ করতে পারেন। মানসিকতাকে বুস্টআপ করতে হবে, তাহলে আপনি ভালো থাকবেন।