হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণে কচু শাক ভুনা

Looks like you've blocked notifications!

কচু শাক খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। কচুর শুধু নিচের অংশ নয়, উপরের অংশও রান্না করা যায়। যাঁদের ব্লাড সুগার বেশি, যাঁরা ডায়াবেটিক পেশেন্ট, তাঁদের কচুর মাটির নিচের অংশ খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। তবে উপরের অংশ তাঁরা খেতে পারবেন। আজ আমরা জানাব, কীভাবে বাসায় সহজে কচু শাক ভুনা রান্না করবেন।

কচু শাকের সাথে রসুনের কিমা মানিয়ে যায়। অনেকে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক খেতে পছন্দ করেন। যাঁদের হিমোগ্লোবিন কম থাকে, তাঁরা সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন কচু শাক খেতে পারেন। দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়ায় কচু শাক। হার্টের জন্য খুব উপকারী কচু।

এনটিভির রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর-এর একটি পর্বে কচু শাক ভুনার রেসিপি দেওয়া হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রীতা। খাবারের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা। আসুন, আমরা জেনে নিই বাসায় সহজে কচু শাক ভুনা রান্নার পদ্ধতি। তার আগে চলুন দেখে নিই কী কী উপকরণ লাগবে—

উপকরণ

১. পরিমাণমতো তেল

২. দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি

৩. এক টেবিল চামচ রসুন কিমা

৪. একটি তেজপাতা

৫. দুটি এলাচ

৬. পরিমাণমতো দারুচিনি

৭. ৭-৮টি লবঙ্গ

৮. সামান্য পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো

৯. আধা চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

১০. এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

১১. দুই টেবিল চামচ জিরার গুঁড়ো

১২. পরিমাণমতো পানি

১৩. এক কাপ কচু শাক

১৪. স্বাদমতো লবণ

১৫. পরিমাণমতো পেঁয়াজ বেরেস্তা

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে ফ্রাইপ্যানে তেল দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কিমা, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার অন্য একটি পাত্রে হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো ও পানি দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। গোলানো মসলা ফ্রাইপ্যানে ঢেলে দিন। এতে কচু শাক ও লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।

রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন কচু শাক ভুনা। এ রেসিপিটি সহজে প্রস্তুত করতে ও রন্ধন প্রণালি সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।