৪০ টাকায় ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম

Looks like you've blocked notifications!

আইসক্রিম কে না খেতে পছন্দ করে। আর, যদি তা হয় ব্যতিক্রমী কোনো আইসক্রিম, তাহলে তো কথাই নেই। ব্যতিক্রমী এ আইসক্রিম খেতে আপনাকে যেতে হবে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার প্রেসক্লাব রোডে।

‘ওয়ান মিনিট’ নামের ১২৫ বছরের এই দোকানে ১৯৮২ সাল থেকে আইসক্রিম তৈরি হয়। আগে এই আইসক্রিম ‘কোন’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এটি ‘কুলফি’ হিসেবে পরিচিত।

অনেকেই বলেন, এক মিনিটেই তৈরি হয় বলে এর নামকরণ হয় ‘ওয়ান মিনিট’ আইসক্রিম। চাঁদপুরের ওয়ান মিনিটের স্বত্বাধিকারীও এই নামটা থেকেই তাঁর দোকানের আইসক্রিমের নাম ঠিক করেছেন বলে জানা যায়।

ওয়ান মিনিটের মালিক দুই ভাই। তাঁদের দুজনের দোকানেই এই আইসক্রিম পাওয়া যায়। তবে, তাঁদের দোকানের নাম আলাদা। একটি দোকানের নাম ‘ওয়ান মিনিট’, আর অপরটির নাম ‘হ্যাভেন’।

‘ওয়ান মিনিট’ আইসক্রিমের দোকানে ভ্যানিলা স্বাদের এবং ‘হ্যাভেন’ দোকানটিতে ভ্যানিলা ম্যাঙ্গো ও চকলেট ফ্লেভার আইসক্রিম পাওয়া যায়। এ দোকানের আইক্রিমগুলো খাঁটি গরুর দুধের। ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম বেশ সুস্বাদু ও ভিন্ন স্বাদের। আইসক্রিমটি বেশ নরম। প্রতি কাপ আইক্রিমের দাম মাত্র ৪০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি করা মেশিনে সংরক্ষণ করা হয় এই আইসক্রিমগুলো। ক্রেতার কাপে আইসক্রিম দেওয়া হয় মেশিনের মাধ্যমে। খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হয় বলে এই আইসক্রিমের সুনাম রয়েছে সমগ্র চাঁদপুরজুড়ে।

 বর্তমানে ওয়ান মিনিট দোকানটি পরিচালনা করছেন সম্পক সাহা। ১২৫ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত এ দোকানটি সম্পক সাহার বাবার। বাবার স্মৃতিকে ধরে রাখতে তিনি এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

ওয়ান মিনিটের আইসক্রিমের দোকানটি হয়তো সুন্দর পরিপাটি মনে নাও হতে পারে আপনার কাছে। কিন্তু, দোকান মালিকের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তায় আপনি মুগ্ধ হবেন।

ওয়ান মিনিট আইসক্রিমের দোকানেই পাওয়া যাবে ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন মানের মিষ্টি। রসগোল্লা, চমচম, লালমোহন, কালো জাম, সন্দেশ, রসমালাই, ক্ষীর, লাড্ডু, মিষ্টি দধি, টক দধি, নিমকিসহ মিলবে নানা মুখরোচক খাবার। 

যেভাবে যাবেন

প্রথমে রাজধানীর সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে আসতে হবে। চাঁদপুরগামী যেকোনো লঞ্চে আপনি যেতে পারেন। এক ঘণ্টা পরপর ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চ ছেড়ে যায়। সোনার তরী, বাঘের হাট, মেঘনারানী, বোগদাদীয়া, জমজম, তাকওয়া, মিতালী, স্বর্ণদ্বীপ, ময়ুরসহ নানা লঞ্চে আপনি যেতে পারবেন। দাম স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি নিলেও চা-কফি, স্যান্ডুইচ, বার্গার, পানীয়সহ নাস্তার সব ব্যবস্থাই আছে লঞ্চে। লঞ্চের ডেক ভাড়া ১০০ থেকে ১৫৭ টাকা, আর কেবিন ভাড়া ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ পর্যন্ত। যেতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। চাঁদপুর লঞ্চ থেকে নেমে ইজিবাইকে করে আপনি যেতে পারবেন শহরের প্রেসক্লাব রোডে। ইজি বাইকের রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ৫০ থেকে ৮০ টাকা।